ঢাকা , শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ , ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সরকারের কঠোর বার্তা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ৩১-১২-২০২৪ ০৫:২২:০৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩১-১২-২০২৪ ০৯:০৫:৪৩ অপরাহ্ন
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সরকারের কঠোর বার্তা
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কেউ বিধি লঙ্ঘন করলে তাকে অসদাচরণের দায়ে ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। 

পদ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত দাবি নিয়ে ২৬টি ক্যাডারের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের কর্মসূচির বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর বার্তা এলো। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছে, কেউ এই বিধি লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে ব্যবস্থার আওতায় আসবেন।  

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কঠোর বার্তা দিয়েছে। 

সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারী পদ ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত দাবিতে জনপ্রশাসনে এখন দুটি পক্ষ মাঠে নেমেছে। তাদের মধ্যে একদিকে আছে প্রশাসন ক্যাডার, অন্যদিকে আছে ২৫টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। মূলত ১৭ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ আলোচনায় আসার পর থেকে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারা তাঁদের দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সভা, জমায়েত, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সরব বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের ৩ জানুয়ারি সমাবেশ করার কথা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক আলোচনা চলছে। 

এ রকম পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারী বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিবিধ কর্মসূচি পালন করছেন। এ কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ ছাড়া ইদানীং দেখা যাচ্ছে, সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই সে বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে। যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থী। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ৩০ নং বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী (এ) সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসমক্ষে আপত্তি উত্থাপন করতে বা যেকোনো প্রকারে বাধা প্রদান করতে পারবেন না, অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করিতে পারবেন না। (বি) সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসমক্ষে কোনো অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ করতে অথবা অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করতে অথবা কোনো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে বা অন্যকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারবেন না। (সি) সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না। (ডি) সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বা কোনো শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যেকোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল-বোঝাবুঝি বা বিদ্বেষের সৃষ্টি করিতে অথবা অন্যকে প্ররোচিত করতে বা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবেন না। 

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর যেকোনো বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। কোনো সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।

বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ